ক্ষুদ্র শিল্প কাকে বলে ও ক্ষুদ্র শিল্পের উদাহরণ

জানুন ক্ষুদ্র শিল্প কাকে বলে এবং ক্ষুদ্র শিল্পের উদাহরণ বিনিয়োগের পরিমাণ ও গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত।

Advertisement

আপনি কি জানেন ক্ষুদ্র শিল্প কি? অনেকেই আমরা এসম্পর্কে শুনলেও বিস্তারিত জানি না। এখানে আলোচনা করব ক্ষুদ্র শিল্প কাকে বলে, বিনিয়োগের পরিমাণ, ক্ষুদ্র শিল্পের উদাহরণ এবং বাংলাদেশে এর গুরুত্ব নিয়ে।

ক্ষুদ্র শিল্প কাকে বলে

ক্ষুদ্র শিল্প কাকে বলে: স্বল্প পুঁজি ও স্বল্পসংখ্যক কর্মচারী নিয়ে এক মালিকানা, অংশীদারি অথবা সমবায়ের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা শিল্পকে ক্ষুদ্র শিল্প বলে। এসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে অন্যান্য স্থায়ী সম্পদের মূল্য বা প্রতিস্থাপন ব্যয় অনধিক ১.৫০ কোটি টাকা।

বিনিয়োগের পরিমাণ – ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ কোটি টাকা।

Advertisement

ক্ষুদ্র শিল্পের উদাহরণ

  1. খাদ্য ও খাদ্যজাত শিল্প – ময়দা, আটা, সেমাই, চিনি, মধু, মাছ, তেল, চাল, চকলেট, মুড়ি-চিড়া, শুটকি প্রস্তুত।
  2. বস্ত্র শিল্প- থান কাপড়, বেডশিট, শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা প্রস্তুত।
  3. পাট ও পাটজাত শিল্প – সুতা, পাটের ব্যাগ, কাপড়, কার্পেট ইত্যাদি।
  4. বন শিল্প – কাঠ, বাঁশ, করাত কল, কাঠের খেলনা, আসবাপত্র তৈরি।
  5. মুদ্রণ ও প্রকাশনা – কাগজ, প্যাকেট, প্যাকিং ও কার্টন তৈরি
  6. চামড়া ও রাবার শিল্প – চামড়ার তৈরি পন্য, জুতা কারখানা।
  7. ইস্পাত ও প্রকৌশল শিল্প- কৃষি যন্ত্রপাতি, মিল কারখানার যন্ত্রপাতি, অটো মোবাইল সামগ্রী
  8. কেমিক্যাল ও ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প – রং, পেইন্ট, প্লাস্টিক, ঔষধ ও সার কারখানা।
  9. গ্লাস ও সিরামিক শিল্প – বিভিন্ন ধরণের কাঁসের ও চিনামাটির জিনিসপত্র
  10. হিমাগার শিল্প

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র শিল্পের গুরুত্ব

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশে বেশ কয়েক ধরনের ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, চামড়া শিল্প, সাবান শিল্প, তামাক শিল্প, রেশম শিল্প, কাঁসা শিল্প, কাঠ শিল্প ইত্যাদি।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের গুরুত্ব হচ্ছে;

  • দৈনন্দিন চাহিদা মেটানো – সারাদেশে শতশত বছর ধরে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে আসছে।
  • কর্মসংস্থান সৃষ্টি – ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। দারিদ্র্য ও বেকারত্ব কমাতে এ শিল্প ভূমিকা রাখছে।
  • বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন – কোনো কোনো পণ্য বিদেশে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়।
  • সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশ – ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গেও সম্পর্কযুক্ত।
ক্যাটাগরিBusiness
হোমপেজBDClass
Advertisement

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *